ফেনীতে জুমার নামাজ শেষে সদ্যপ্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া চাওয়ায় মসজিদের খতিবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুর শুক্কুর মানিকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ফেনী সদর উপজেলার ফকিরহাট মাদ্রাসা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল ওহাব বলেন, জুমার নামাজ শেষে ইমাম মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ মুসল্লিদের উদ্দেশে ইসলামে বিশেষ অবদানের জন্য সাঈদীসহ আলেম-ওলামার জন্য দোয়া করতে বলেন। এ সময় মানিকের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ইমামকে থামিয়ে দিয়ে তাকে মসজিদ থেকে নিয়ে যান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও একটি সালিশ বৈঠকে থাকায় বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানান। এক ঘণ্টা পরে তাকে ফের ফোন দিলে তিনি কেটে দেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ঘটনার জন্য ইমাম সাহেব উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে মাফ চাইলে তাকে রেহাই দেওয়া হয় এবং তাকে মসজিদের খতিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
খতিবকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে মানিক বলেন, ‘বিতর্কিত একজন ব্যক্তির জন্য দোয়া চাইলে মুসল্লিরা ক্ষেপে যান। তখন আমি তাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছি।’
খতিব মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ বলেন, ‘আমি আল্লার কাছে বিচার দিয়েছি, তিনি ন্যায়বিচার করবেন।’ তিনি সাঈদীসহ আলেম-ওলামার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। তার মৃত্যুতে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এর মধ্যে শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে সাঈদীর জন্য দোয়ার কর্মসূচি ছিল।
মন্তব্য করুন