কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুটি বাড়ির আঙিনায় বাঁশের বেড়া ও মশারি দিয়ে চাষ করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ গাঁজার গাছ। গাছ গুলোর বয়স প্রায় এক বছর। কয়েক মাসেই মধ্যেই কাঁটা হতো গাছগুলো। খবর পেয়ে গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ১৩টি গাঁজার গাছসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রায় ২০ ফিট উচ্চতার গাছগুলোর ওজন প্রায় ৫০ কেজি। এ সময় আটককৃত দুজন চাষির বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার (২০ আগস্ট) সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন- বাগুলাট ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের হান্নান আলীর ছেলে মো. নাজির আলী (৫০)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অপরজন কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আজাহার উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. সুজন আলী (৪২)।
পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর ধরে বাড়ির আঙিনায় বাঁশ ও মশারি দিয়ে ঘিরে নিষিদ্ধ গাঁজার গাছ চাষ করছিলেন নাজির আলী ও সুজন আলী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে পৃথক অভিযান চালায় পুলিশ। একটি অভিযানে নাজিরের বাড়ি থেকে প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের ১১টি গাছ উদ্ধার করা হয়। আরেক অভিযানে সুজন আলীর বাড়ি থেকে ৫ কেজি ওজনের দুটি গাছ উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, গোপনে বাড়ির আঙিনায় নিষিদ্ধ গাঁজার চাষ হচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের ১৩টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। গাঁজা চাষের অপরাধে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন