‘আজরাইল তো জান কবজে ছাড় দেয়। কিন্তু ঠিকাদারি বিলের ৬ পার্সেন্ট টাকা না দিয়ে মাফ পাওয়া যায় না।’ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক অডিও রেকর্ডে এ কথা বলতে শোনা যায়। অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ভাইরাল ১০ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের অডিওতে শফিউল ইসলাম প্রতিটি কাজের বরাদ্দ অনুসারে ৬ শতাংশ টাকা দাবি করেন। এ সময় টাকা কম দিতে চাইলে প্রকৌশলী বলেন, একটি টাকাও কম দেওয়া যাবে না। টাকা কম দিলে বিল পাস করা যাবে না।
ভুক্তভোগী ঠিকাদারের নাম ফিরোজ কবির। তিনি দাবি করেন, সড়ক পাকাকরণে মোট বরাদ্দের টাকা থেকে প্রকৌশলী শফিউল ইসলামকে তার দাবি করা কমিশনের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার কাছে ঘুষ চাওয়ার কথোপকথনটি গত বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ের।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন বলেও জানান ফিরোজ কবির। অভিযোগের সঙ্গে একটি পেনড্রাইভে তার কাছে শফিউলের কমিশন তথা ঘুষ চাওয়ার কথোপকথনের অডিও রের্কডও জমা দেন তিনি।
ঠিকাদার ফিরোজ কবির আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধু আমার সঙ্গেই এ ঘটনা ঘটেনি। পৌর সেবাগ্রহীতাদের পৌর ট্যাক্সের ৮৫ শতাংশ টাকাও যায় প্রকৌশলী শফিউলের পকেটে।
এদিকে, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন তদন্ত করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন। তবে এক মাস পার হলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। এতে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযুক্ত শফিউল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন বলেন, এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শফিউল ইসলাম ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন