নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ এএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

থানায় বসে ওসির টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

ছবি : ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি : ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে ঘুষ বা অনৈতিক টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, জিডি বা অভিযোগের কাগজের সঙ্গে স্টেপলার করে রাখা কিছু টাকা হাতে নিয়ে ওসি এনায়েত হোসেন এক ব্যক্তির উদ্দেশে বলছেন, ‘এই টাকা দিলে মানসম্মান থাকে?’ এ সময় তার সামনে আরও দু-তিনজন ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। আর ওসি এনায়েত হোসেন তার থানার কক্ষে চেয়ারে বসা অবস্থায় ছিলেন।

জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ওসির কথোপকথনের ওই ভিডিও কেউ একজন ধারণ করেন। কোনো একটি বিষয়ে জিডি বা অভিযোগ করতে গেলে তাদের এ কথা হয়।

এ বিষয়ে জানতে আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

তবে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমাণ কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’

ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নিইনি। আর জিডি করতে কাউকে কোনো টাকা দিতে হয় না। প্রয়োজনে কেউ গোপনে এসে এটা যাচাই-বাছাই করতে পারে।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মো. মেহেদী ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘কোনো পুলিশ কর্মকর্তার থানায় টাকা লেনদেন করার কথা নয়। কারণ, থানায় সব সার্ভিস ফ্রি। তবে এই টাকা কীসের, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে তিনি দোষী হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভোলায় তিন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করলেন ছাত্র-জনতা

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন হবে বিএনপির দুর্গ : মাসুদুজ্জামান

আখতার হোসেনকে ১ ঘণ্টা সময় দিলেন সেই মুনতাসির

ভাই চট্টগ্রামে গেছে, সেখানে তাকে মানুষ খুন করেছে : আশরাফুলের স্ত্রীকে জরেজ

আনচেলত্তির ব্রাজিল নিয়ে বিশ্বকাপে আশাবাদী ভিনিসিয়ুস

পুলিশের বাধায় পণ্ড জাপার কর্মী সমাবেশ

ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়লে ইমানি মৃত্যু লাভ হয়

বিহারের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক মৈথিলি ঠাকুর

মামলা করায় যাত্রাশিল্পীর চুল কেটে মুখে কালি মেখে মারধর

১৪ বছর বয়সেই টি-টোয়েন্টিতে সূর্যবংশীর ঝড়

১০

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানাল এনসিপি

১১

আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ জবিতে ছাত্রদলের মিছিল

১২

স্বল্পমূল্যের পণ্য নিয়ে সাধারণ জনগণকে সুখবর দিল টিসিবি

১৩

ব্যস্ত মার্কেটে ঢুকে গেল ট্রাক, ভিডিও ভাইরাল

১৪

কিম জং উনের বিরুদ্ধে চালানো চাঞ্চল্যকর ড্রোন মিশন ফাঁস

১৫

হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা জুয়েলের

১৬

সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করল এক দেশ, সম্মানি ৭ লাখ টাকা

১৭

অঙ্কুরিত আলু খাওয়া কি নিরাপদ? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

১৮

বিএনপি মানেই উন্নয়ন : আমান

১৯

ভারোত্তলনে পদক জিতে সবাইকে চমকে দিলেন অন্তঃসত্ত্বা পুলিশ কনস্টেবল

২০
X