চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, আল্লাহ যাকে সম্মান দান করেন, তাকে কেউ অসম্মান করতে পারে না। আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে হাজারও নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমে এসেছে। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। খালেদা জিয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক।
তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর পক্ষে এর চেয়ে উঁচুতে ওঠা সম্ভব নয়। তিনি জাতীয় ঐক্য, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে বেগম খালেদা জিয়া ও ডা. জুবাইদা রহমানকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রামের পিসি রোড লোহারপুল থেকে শুরু বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাগরিকা মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সারাটা জীবন দেশের জন্য ভেবেছেন, কষ্ট করলেন, অত্যাচারিত হলেন। আমরা গর্বিত, আমাদের একজন খালেদা জিয়া আছেন, যিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায় ছিল, এদেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সুস্থতা আর দীর্ঘায়ু কামনা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে গেছেন সবসময়। আমার ভেতরে আজ আনন্দ ও বেদনার মিলিত অনুভূতি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, মিয়া মো. হারুন, মহানগর যুবদল নেতা হেলাল হোসেন হেলাল, আশিক মল্লিক, মুহাম্মাদ সাগির, মোহাম্মদ ইয়াছিন, গাজী ফারুক, গিয়াস উদ্দিন টুনু, মনজুরুল আলম মঞ্জু, আরিফ হোসেন।
আরও বক্তব্য রাখেন- মিজানুর রহমান দুলাল, হোসেন উজ জামান, মোহাম্মদ ইউসুফ, আফসার উদ দোলা অপু, আব্দুল করিম, শওকত খান রাজু, সাইফুল আলম রুবেল, মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান, মোহাম্মদ মুজাহিদ, রাসেল খান, সাজ্জাদ আহমেদ সাজ্জাদ, আবু তৌহিদ।
এর আগে, আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন খালেদা জিয়া। এ সময় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ- ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও দেশে ফিরেছেন।
মন্তব্য করুন