মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ ধরা বন্ধের সময় যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, সেটি বন্ধে জোর দেওয়া হবে। বন্ধের সময় ভিজিএফের মাধ্যমে ২০ কেজি চাল থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে।
সোমবার (১২ মে) সকালে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদে এ বছর ৫৬ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। একইসঙ্গে প্রায় ২৭ হাজার জেলেকে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হবে। মাছ ধরা বন্ধের তিন মাস একটি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল পাবে জেলেরা।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময়ে হ্রদ থেকে মাছ আহরণ, মজুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরুধা ভদ্র, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ প্রমুখ।
অতিথিরা বলেন, লোকবলের অভাবে হ্রদ তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিএফডিসির আধুনিকায়ন করার মাধ্যমে ড্রোন ও সিসি ক্যামেরা হ্রদ তদারকি করা হবে। হ্রদ খননের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের কথা জানান বক্তব্যরা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধির জন্য কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকে। এ বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টন মৎস্য আহরণের বিপরীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন