মৌসুম অনুযায়ী গত শুক্রবার গুটি জাতের আমের মাধ্যমে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে আম কেনাবেচা। হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২২ মে থেকে রাজশাহীর বাজারগুলোতে গোপালভোগ আম ওঠার কথা। কিন্তু এরই মধ্যে রাজশাহী বাজারে সয়লাব হয়েছে গোপালভোগ আমে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এসব আম রাজশাহীর নয়। রাজশাহীতে দু-একজন কৃষক আম পাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনো আম পাড়ার সময় হয়নি বলে জানান তারা। গতকাল শনিবার সকালে সাহেববাজার, কোর্টবাজার, নিউমার্কেটসহ রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশকিছু দোকানে গোপালভোগ আম উঠেছে। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায়ও ভ্যানে গোপালভোগ আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ আমই কাঁচা। বাইরের রং দেখে পাকা মনে হলেও ভেতরে বেশিরভাগ আমই অপরিপক্ব।
বাজারে যেসব গোপালভোগ আম উঠেছে, সেগুলোর মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি দামও চড়া। সাহেববাজারে প্রতি কেজি গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
নগরীর সাহেববাজারে আম কিনতে আসা ফিরোজ আলী বলেন, এখনো গুটি আম থাকার কথা। অথচ গোপালভোগ চলে এসেছে। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সবই কাঁচা অবস্থায় পাকানো। খেতেও একদম ফিকে স্বাদ। তারপরও প্রথম আম হিসেবে কিছু কিনেছি।
সাহেববাজারের গোপালভোগ আম বিক্রেতা আবু জাফর বলেন, ২২ তারিখ গোপালভোগ তোলার কথা। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় কিছু আম আগেই তুলতে হয়েছে।
খড়খড়ি বাইপাস এলাকার আমচাষি মারুফ হোসেন বলেন, আমার বাগানে কিছু গোপালভোগ আম পাকতে শুরু করেছে, তবে পুরোপুরি নয়। এখনো কোনো পাইকার আসেননি। বাধ্য হয়ে আগেভাগে তুলেছি। এতে আমের স্বাদ যেমন যাচ্ছে, তেমনি ঠিকমতো দামও পাচ্ছি না। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। পেকেছে, তাই নামিয়ে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমা কালবেলাকে বলেন, গোপালভোগ আম ২২ মে বাজারে আসার কথা। বাজারে যেসব আম এসেছে, এগুলো সম্ভবত এ এলাকার নয়। এখানেও যে আম পাকছে না, সেটিও বলা যাবে না। মাঝে অনেক গরম গেছে। আমরা একটি ধারণা করেই তারিখ দিয়েছি। এর আগেও কেউ আম পাড়তে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করবে। আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে দু-চারজন অনুমতি চেয়েছেন। আমরা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে অনুমতি নিতে বলেছি।
মন্তব্য করুন