শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমায় চেল্লাখালী নদীর পানি

টানা বৃষ্টিপাতে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা। ছবি : কালবেলা
টানা বৃষ্টিপাতে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা। ছবি : কালবেলা

ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা চার দিনের বৃষ্টিপাতে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১৯ মে) রাত ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অন্য নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। তবে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা সবচেয়ে বেশি পানিতে রয়েছে।

এদিন সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি নকুগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯৭ সেন্টিমিটার নিচে, ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ী পয়েন্ট বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার মিটার নিচে এবং চেল্লাখালী নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এখনো জেলায় ৮ শতাংশ ধান টাকা বাকি রয়েছে। এছাড়াও কেটে নেয়া অনেক ধান মারাই হয়নি। অনেক কৃষকের খড় এখনো কাঁচা। টানা বৃষ্টিপাতে অনেকের কেটে নেয়া ধান ও খড় বৃষ্টির পানিতে পচে যাচ্ছে। খেতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ধান কাটতে সময় বেশি লাগায় শ্রমিকের সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু নিচু এলাকায় পানিতে জোঁকের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়ে পানিতে নামতে পারছে না কৃষক।

এ বিষয়ে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ৯২ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। সোমবার জেলার তিনটি উপজেলায় নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বৃষ্টির জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্ষেতে নামানো যাচ্ছে না‌। কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে ইতোমধ্যেই মাইকিং করা হয়েছে। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হবে।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। টানা কয়েকদিনের ভারতের দুটি প্রদেশের বৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ফলেই এই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঁধগুলোতে নিয়মিত নজরদারি রাখছি।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. আশরাফুল আলম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জরুরি সভার আয়োজন করেছি। এ ছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। অতি দ্রুতই পেয়েও যাব। এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে বসে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বোনকে উত্ত্যক্ত করায় মামলা, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করল যুক্তরাজ্য

সিলেট-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হাবিবুর রহমান

পিছু হটছে ভারত-পাকিস্তান সেনারা

কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর প‌ক্ষে-বিপ‌ক্ষে মিছিল

সিলেট ও কক্সবাজার থেকে ফ্লাইট চালানোর আগ্রহ এয়ার এরাবিয়ার

বিশ্বাসের পক্ষে জীবন্ত উপন্যাস ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ : ডা. শফিকুর রহমান

সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে আইন বিভাগে পড়ার স্বপ্ন মলিন মোস্তাফিজুরের

আগে বিচার তারপর নির্বাচন : ড. রেজাউল করিম

চাকরি ছাড়লেন ৫ এএসপি

১০

গেন্ডারিয়া থেকে ২৮ ব্র্যান্ডের ১৪৫ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার

১১

নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের ব্যাখ্যা দিল রাজউক

১২

আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, অবস্থান কর্মসূচিতে এনবিআরের কর্মকর্তারা

১৩

খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুশফিকের সাক্ষাৎ

১৪

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বাতিলের আহ্বান টিআইবির

১৫

অসময়ে জ্বলল বসুন্ধরা কিংস

১৬

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন ময়মনসিংহের মৌমিতা

১৭

গাজীপুর বিএনপির সব ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত 

১৮

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক এনসিপির 

১৯

প্রো-কাবাডি নিলামে বাংলাদেশের ১০ জন

২০
X