বগুড়ার আদমদীঘিতে পূর্বশত্রুতার জেরে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে মতিউর রহমান নামে একজনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) রাতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী মতিউর রহমান।
ভুক্তভোগী মতিউর রহমান (৫২) নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মতিউর রহমান একজন আদম ব্যবসায়ী। তার মাধ্যমে দুই বছর আগে সজীব নামের এক যুবক সৌদি আরবে যান। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ইকামা (কাজের সুপারিশ সনদ) না পাওয়ায় সজীবের পরিবারের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে সজীবের নির্দেশে কয়েকজন যুবক মতিউর রহমানকে চোরের অপবাদ দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সজীবের শ্যালক সুমনের নাম উল্লেখ করে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
আরও জানা গেছে, ঢাকার এক এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করছেন। গত ৪০ দিন আগে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের হেলাল প্রামাণিকের ছেলে সজীব প্রামাণিককে একটা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবে গিয়ে সজীবের বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যরা ৭-৮ দিন আগে মতিউরের বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চায়।
এ নিয়ে সেখানে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বগুড়া থেকে ট্রেনে মতিউরকে একা পেয়ে সজীবের ছোট ভাই রাকিব এবং সজীবের শ্যালকরা মিলে মোবাইল চোর এবং ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ মতিউরের পরিবারের।
বগুড়ার আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজার বাহির থেকে ঝুলিয়ে ফেলে দেওয়া হয় মতিউরকে। তিনি ট্রেনের নিচে পড়লেও প্রাণে বেঁচে যান। এরপর মুহূর্তেই ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, নশরতপুর রেলস্টেশনের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন