চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চুয়াডাঙ্গায় ৭ পুলিশের নামে হত্যা মামলা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। ইনসেটে শামিম রেজা সাজু। ছবি : কালবেলা
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। ইনসেটে শামিম রেজা সাজু। ছবি : কালবেলা

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার আমলি আদালতে ৭ পুলিশ সদস্যের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৭ সহকর্মীর বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) ঘটনার একমাস পর নিহত পুলিশ সদস্যের বাবা বাদী হয়ে দর্শনা থানার আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু বলেন, বাদীর অভিযোগ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে তা তদন্তে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলী ফরাজীর ছেলে শামিম রেজা সাজু চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলার একটি কক্ষ থেকে শামিমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দর্শনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছিল।

শামিমের লাশ উদ্ধারের এক মাসের বেশি সময় পর তার বাবা হাসেম আলী ফরাজী আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন বিভাগের ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানাকে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে শামিম রেজা বিবাহিত এবং পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। পুত্রবধূ (শামিমের স্ত্রী) একমাত্র সন্তান নিয়ে তার বাড়িতে এবং ছেলে (শামিম রেজা) চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। সংসারজীবনে কোনো অশান্তি ছিল না।

বাদীর অভিযোগ, দর্শনা ইমিগ্রেশনে বদলি হওয়ার পর থেকেই শামিম রেজা বৈষম্যের শিকার ছিলেন। বিভিন্ন খুঁটিনাটি কারণে ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরা তাকে (শামিম রেজা) মানসিক চাপে রাখতেন এবং কারণে-অকারণে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন। শামিম প্রতিবাদ করায় ওই ছয়জন তাকে খুন করার হুমকি দিতেন। এসব কারণে শামিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, ১৭ এপ্রিল ১-৫ নম্বর আসামিরা কনস্টেবল শামিমকে খুন করার হুমকি দিলে তিনি নিজ গ্রামের বাসিন্দা সহকর্মী (৭ নম্বর আসামি) সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে তা জানান। সোহেল রানা বিষয়টি শামিমের বাড়ির কাউকে না জানিয়ে অন্যদের (ছয় আসামি) তা জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর যেকোনো সময় শামিমকে হত্যা করে কক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ বাবাদের দিন

মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে বাংলাদেশিকে হত্যা

আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

রাতভর ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলা, নিহত ৬

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

রোববার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৫ জুন : আজকের নামাজের সময়সূচি

সৌদি যুবরাজকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোন, কী কথা হলো

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইসরায়েলের হামলা

ধর্ম উপদেষ্টাকে নিয়ে সংবাদ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

১০

রাতের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩ 

১১

কঠিন সময়ে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন তারেক রহমান : ডা. রফিক

১২

লন্ডন বৈঠক রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করবে : সাইফুল হক

১৩

তারেক রহমান ত্যাগী কর্মীদের পাশে আছেন : মুন্না

১৪

এবার তেহরানের তেলের ডিপোতে ইসরায়েলি হামলা

১৫

ইরানের নতুন হামলায় ইসরায়েলের নারী নিহত, আহত ১৩ 

১৬

এবার ইসরায়েলের কোন শহরে পড়ল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র

১৭

ইসরায়েলে বড় হামলা শুরু করেছে ইরান

১৮

নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষেপেছেন এরদোয়ান, সৌদি যুবরাজকে ফোন

১৯

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প

২০
X