নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলীর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। শুনানির সময় আইভীকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান কালবেলাকে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তুহিন হত্যা ও নাদিম হত্যাচেষ্টা মামলায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত সেটা পরবর্তী তারিখে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জামিন শুনানির দিন আসামিকে উপস্থিত রাখার প্রয়োজন নেই।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, দুটি মামলায় জামিন আবেদন করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। অন্য একটি মামলায় আগামী ২৫ মে ভার্চুয়ালি রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মে রাত ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এ সময় আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার দুইটি রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকরা।
আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আইভীর বাড়ির দিকে আসার আহ্বান জানান তারা। ৯ মে ভোরে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জের পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তুহিন হত্যা ও নাদিম হত্যাচেষ্টা মামলায়ও সাবেক এ মেয়রকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন