নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিজ ভিটাতেই শায়িত হলেন শহীদ হাসান

নিজ ভিটাতেই শায়িত হলেন শহীদ হাসান। ছবি : কালবেলা
নিজ ভিটাতেই শায়িত হলেন শহীদ হাসান। ছবি : কালবেলা

গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ হাফেজ মো. হাসানকে। রোববার (২৫ মে) সকালে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর জব্বর ইউনিয়নে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে ভোরে হাফেজ হাসানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজন, প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন।

হাসান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র ছেলে। ১০ বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর হাসানের মা মাহিনুর বেগম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নে। বাড়ি নির্মাণের জন্য কিনেছিলেন জমি, কিন্তু সেখানেই দাফন হয় হাসানের।

জানাজায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ হাসানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।

জানাজায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা শাহাদাতবরণ করেন তারা পরকালে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত। দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে বাংলাদেশে কখনো জন্ম নিতে না পারে শহীদ হাসানের লাশকে সামনে রেখে তিনি সবার উদ্দেশে আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অনেক লজ্জিত হাসানের পরিবারের পাশে যেভাবে থাকা দরকার সেভাবে থাকতে পারি নাই। তার বাড়িতে বসতভিটা নাই। দুই বোনের এক ভাই সে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার মা ও বোনরা ভেঙে পড়েছেন। তার নতুন জায়গায় বাড়ি করার কথা। সেখানেই নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। আমরা চাই তার পরিবারের পাশে সরকার থাকুক। সব প্রয়োজন পূরণ করুক।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন হাসান। চট্টগ্রাম, ঢাকা ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তির দিনেই পাইরেসির কবলে ‘ওয়ার-২’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে : খেলাফত মজলিস

যাদের হজে নেওয়া যাবে না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

সালাহউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি, জুডিসিয়াল মার্ডার : হুম্মাম

পদ্মার পানি বিপৎসীমায়, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

পাথর লুট : পরকালে দেওয়া হবে যে ভয়াবহ শাস্তি

দুই সন্তানের বাবাকে শিশু দেখিয়ে জামিনে মুক্তি

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীতে ফানুস ওড়ানোতে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

১০

বাইডেনের ছেলেকে মামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী

১১

দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন রুবেল

১২

মেঘনায় ১৮ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ ডুবল লাইটার জাহাজ

১৩

প্রতারণার অভিযোগে ফের বিপাকে রাজ-শিল্পা

১৪

ক্লাব বিশ্বকাপের বোনাসের অংশ জোতার পরিবারকে দেবে চেলসি

১৫

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে মেডিকেল কার্যক্রম চালুর আবেদন

১৬

যারা নির্বাচন করবেন, তারা কেন সরকারে : রাশেদ খান

১৭

বঙ্গতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’

১৮

সরকারি চাকরিজীবীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

১৯

সুপার কাপ ফাইনালে ফিলিস্তিনি শিশুদের পক্ষে উয়েফার ব্যানার

২০
X