কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর পশুর হাট থেকে রসিদ ছাড়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মো. মাহাবুব রহমান ও মো. আলমগীর নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার (২৮ মে) সকালে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা করা হলে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে বিকেলে তাদের মুক্তি দেন আদালত।
গ্রেপ্তার মো. মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) যাত্রাপুর গরুর হাটে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রসিদবিহীন চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ যাত্রাপুর হাটে টহলরত যৌথবাহিনীকে অভিযোগ দিলে তাদের আটক করা হয়। পরে বুধবার সকালে ওই মহিষ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কিনেন। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে (আনোয়ার) গরু মহিষ বিক্রির রশীদ সেডে নিয়ে যায় এবং প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাকা হিসাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার হোসেন তাদের কাছে রশীদ চাইলে তারা হাটের ইজারার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ওইসময় আনোয়ার হোশেন হাটে দায়িত্বরত যৌথবাহিনীকে বিষয়টি জানালে যাত্রাপুর হাট থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, মো. মাহাবুব রহমান ও তার সহযোগী মিলে আমার কাছ থেকে ১৭টি মহিষের জন্য ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে কিন্তু আমাকে কোনো রশীদ দেয়নি। তাই আমি যৌথবাহিনীকে জানিয়েছি। পরে থানায় মামলা করেছি। মাহাবুব রহমান ওই হাটের বৈধ ইজারাদার হলেও ওই সময়ে যৌথবাহিনীকে ও আমাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তার কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। আজ সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তারা জামিনে বের হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন