চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খুব কম সদস্য আছেন মেহেদীকে চেনেন না। তার পুরো নাম কেএম মেহেদী হাসান (৩৫)। চট্টগ্রাম নগরীতে মোবাইল চুরি, ছিনতাইয়ের জিডি হলে সর্বপ্রথম পুলিশের সামনে যে নামটি আসে সেটা হলো মেহেদী।
জিডি মূলে অথবা অনুরোধের ক্ষেত্রে হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া স্মার্টফোন ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে মেহেদীর স্মরণাপন্ন হলেই মিলত মোবাইল।
তথ্যমতে, বন্দর নগরীতে মেহেদীর বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দিগনগর এলাকার কেএম আলমগীরের ছেলে। নগরীতে মোবাইল চুরি, ছিনতাইকে কোন স্পট থেকে করেছে, কোথায় কার হাতে রয়েছে এবং কোথায় বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি সবই মেহেদীর জানা।
মোবাইল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত হলেও মেহেদী পুলিশের হাত থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে নগরীর খুলশী থানাধীন পলিটেকনিক্যাল আগার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩১টি চোরাই স্মার্টফোনসহ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল চোর চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩১টি চোরাই স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে নগরের পলিটেকনিক্যাল আগার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া ফোনগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফোনগুলো Samsung, Redmi, Realme, OPPO, VIVO, MI, Huawei, Tecno, Maximus, VNUS, Symphony, Google ও Benco ব্র্যান্ডের।
গ্রেপ্তার মেহেদী দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় খুলশী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন