বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, স্বৈরাচারী শাসনামলে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করে নির্যাতিত হয়েছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি নেতাদের মনে রাখতে হবে, দখলবাজ নেতাকর্মীদের স্থান বিএনপিতে নেই।
তিনি বলেন, ৩১ দফার সংস্কার কর্মসূচির ভিত্তিতে যে নেতা দলের দুর্দিনে পাশে থাকবে সুদিনেও চরিত্র হারাবে না সেই নেতার প্রয়োজন এখন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যদি মনে করি, বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে আমরা ভুল করব। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর ’৯১ সালে আওয়ামী লীগ ভেবেছিল তারা ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করে ফেলেছে। তখন তারা অন্তর্বর্তী সরকারও গঠন করে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। জনগণ বেছে নিয়েছিল বিএনপিকে।
তিনি আরও বলেন, আমরাও যদি বিগত আন্দোলন-সংগ্রামের পর মনে করি এখন তো আওয়ামী লীগ নেই, বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে, ’৯১-এর আওয়ামী লীগের মতো আমরাও আরেকবার ভুল করব। আমরা সাগরের একদম কিনারায় দাঁড়িয়ে সাঁতরাচ্ছি, সেখান থেকে ডাঙায় উঠব। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে পর্যন্ত আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। এখন যদি তীরে এসে তরি ডুবিয়ে দেই তার চেয়ে দুঃখজনক কিছুই থাকবে না। এখনো অমানিশা কেটে যায়নি। আমাদের সবাইকে সব দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কদরুল হক মারুফের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক সুফিয়ান আহমদের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট এ এন এম আবেদ রাজা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদওয়ান খান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শওকতুল ইসলাম শকু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জামাল, সদস্য জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, শামীম আহমদ চৌধুরী, বদরুজ্জামান সজল, এম এ মজিদ, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও রুমেল খান।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জুবের আহমদ খান, কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুক্তার আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রেজাউল আলম ভূঁইয়া খোকন, সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রাহেল মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু।
মন্তব্য করুন