পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য ফরম বাছাইকালে ছাত্রদল ও বিএনপি কর্মীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- স্থানীয় ধানীসাফা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মো. সজিব হাওলাদার, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী মো. ছগির হোসেন, সাবেক পৌর ছাত্রদল নেতা ইসতিহাক আহম্মেদ মিশাত, গুলিসাখালী ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী নেতা মো. সোহাগ তালুকদার ও টিকিটা ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী মো. ইউসুফ খান। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বিএনপির কমিটি গঠনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৫০০ সদস্য আবেদন ফরম পুনঃসংযোজন বিয়োজনের বাছাই প্রক্রিয়া চলছিল। শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বাছাই কর্মসূচি চলাকালে দলের কয়েকজন ছাত্রদল ও বিএনপি কর্মীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে দুই ছাত্রদল নেতাসহ ৫ বিএনপি কর্মী আহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দলীয় নেতারা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ূন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওয়ার্ড সম্মেলন শেষে সদস্য ফরম যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্য কিছু সদস্য ফরম নিয়ে দলীয় মতবিরোধ হলে পুনরায় যাচাই-বাছাই চলছিল। এ নিয়ে কিছু নেতাকর্মীদের মধ্যে পুনরায় মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় ধানীসাফা ইউনিয়ন ছাত্রদলের এক নেতা মারধরের শিকার হলে দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫-৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনা নিবৃত্ত করে। বিষয়টি দলীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন