মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ছবি : কালবেলা
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ছবি : কালবেলা

ভারি বর্ষায় পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে পানি আর পানি।

ভারি বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। চলতি বছর আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে একটানা গুঁড়ি গুঁড়ি, হালকা ও ভারি বৃষ্টি লেগে আছে। এতে আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য ঘের, নার্সারি, পুকুর, বাগান, রাস্তা ও বসতবাড়ি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী উঁচু এলাকা হলেও বাকী ৬টি ইউনিয়ন নিচু এলাকায় অবস্থিত। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েকদিনের বর্ষায় পৌর বাজারের স্বর্ণ পট্টি, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। বাড়ির উঠানে পানিতে তলিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়ন গদাইপুরের কয়েকশ নার্সারি পানিতে তলিয়ে গেছে। সবজি ক্ষেত ও আমন ধান ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাইকগাছা উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নার্সারি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ভারি বৃষ্টিতে নার্সারির বেড ডুবে লাখ লাখ মাতৃ চারা মরে গেছে। ফলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টি না কমলে আমারা চারা উৎপাদন করতে পারব না।

পৌরসভার কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, সবজি ও ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। বাড়ির উঠান পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরামুল হোসেন জানান, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তারা ইউনিয়নে কাজ করছেন। ভারি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সৈকত মল্লিক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার পুকুর ও প্রায় পাঁচ হাজার ছোট বড় ঘের তলিয়ে গেছে। যদি আবার এখন ভারি বৃষ্টি না হয় তাহলে অতি দ্রুত পানি সরে যাবে। এতে কোটি টাকার মাছ চলে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভারি বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর স্লুইস গেটগুলো উন্মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন পানি নিস্কাশনের ড্রেনগুলি পরিস্কার করার জন্য টিমগুলো কাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল 

বাড়ির পেছনে পড়ে ছিল শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ

আশুলিয়া কলেজ প্রশাসনের ভুলে বিপাকে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী

উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত : হেফাজতে ইসলাম

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না : মোস্তফা জামান

‘মব’ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে ছাত্রশিবির, অভিযোগ ছাত্রদলের 

লর্ডসে ব্যর্থ জাদেজার বীরত্ব, ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়

গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে গাকৃবিতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শুটিংয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্টান্টম্যানের

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি নারী

১০

খুলনায় ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষ, রেল যোগাযোগ বন্ধ

১১

১৬ জুলাই কৈশোর তারুণ্যে বই ট্রাস্টের ৯ বছরপূর্তি

১২

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন শেখ মইনউদ্দিন

১৩

ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা / নিহত ৬ জনের প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয় : হাইকোর্ট

১৪

ক্লাব বিশ্বকাপকে কি সফল বলা যায়?

১৫

ভোটার হতে আবেদন করা প্রবাসীদের তথ্য দিলেন এনআইডি ডিজি

১৬

২২ বছরের সংসার ভাঙল অভিনেত্রীর

১৭

সৌদিতে বিদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশনা

১৮

‘কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবে না’

১৯

আলীর ট্রেলারে ইরফানের ঝলক

২০
X