পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ছবি : কালবেলা
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ছবি : কালবেলা

ভারি বর্ষায় পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে পানি আর পানি।

ভারি বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। চলতি বছর আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে একটানা গুঁড়ি গুঁড়ি, হালকা ও ভারি বৃষ্টি লেগে আছে। এতে আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য ঘের, নার্সারি, পুকুর, বাগান, রাস্তা ও বসতবাড়ি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী উঁচু এলাকা হলেও বাকী ৬টি ইউনিয়ন নিচু এলাকায় অবস্থিত। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েকদিনের বর্ষায় পৌর বাজারের স্বর্ণ পট্টি, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। বাড়ির উঠানে পানিতে তলিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়ন গদাইপুরের কয়েকশ নার্সারি পানিতে তলিয়ে গেছে। সবজি ক্ষেত ও আমন ধান ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাইকগাছা উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নার্সারি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ভারি বৃষ্টিতে নার্সারির বেড ডুবে লাখ লাখ মাতৃ চারা মরে গেছে। ফলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টি না কমলে আমারা চারা উৎপাদন করতে পারব না।

পৌরসভার কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, সবজি ও ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। বাড়ির উঠান পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরামুল হোসেন জানান, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তারা ইউনিয়নে কাজ করছেন। ভারি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সৈকত মল্লিক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার পুকুর ও প্রায় পাঁচ হাজার ছোট বড় ঘের তলিয়ে গেছে। যদি আবার এখন ভারি বৃষ্টি না হয় তাহলে অতি দ্রুত পানি সরে যাবে। এতে কোটি টাকার মাছ চলে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভারি বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর স্লুইস গেটগুলো উন্মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন পানি নিস্কাশনের ড্রেনগুলি পরিস্কার করার জন্য টিমগুলো কাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুমের শিকার পরিবারগুলোর মানববন্ধন / স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন

অগ্নিকাণ্ডে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে : ফায়ার সার্ভিস

গণভোট মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জামায়াতের

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ

চাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীকে সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিয়েতে বন্ধু না আসায় কবুল বলেনি বর

চাটুকারিতাকে যেভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে রূপ দিলেন শেহবাজ শরিফ

১০

ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য শরিয়াভিত্তিক হাউস-কার লোন চালুর পরামর্শ আহমাদুল্লাহর

১১

আগামীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

১২

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

১৩

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

১৪

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

১৫

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

১৬

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

১৭

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

১৮

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

১৯

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

২০
X