সাতক্ষীরা ল’ কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পদধারীদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে ওই নিয়োগ বাতিলসহ স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন প্রতারণার শিকার আইনজীবীরা।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে এই নিয়োগ দিয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ১৯ জুলাই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ অ্যাড. রবিউল ইসলাম খান আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ৭টি প্রভাষক পদে আওয়ামী লীগের পদধারীদের নিয়োগ দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীদেরই নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই নির্দিষ্ট কিছু নাম ঠিক করে রাখা হয়েছিল। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাগুলো ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এমনকি মেধা যাচাইয়ের নামে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং মার্কস ম্যানিপুলেশনের অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী আইনজীবীরা জানান, নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হাসনা হেনা খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর হুসাইন সুজনের বড় ভাই অ্যাড. শরিফ আজমীর রোকন, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাড. মুনির উদ্দীন, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলুর স্ত্রী অ্যাড. নাজমুন নাহার ঝুমুর রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।
এ সময় তারা ১৯ জুলাইয়ের পাতানো নিয়োগ বাতিল করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও দুদুকের মাধ্যমে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. শেখ শাহরিয়ার হাসিব, অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ, অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, অ্যাড. আইয়ুব আলী, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, অ্যাড. তারিক ইকবাল অপু, অ্যাড. আসাদুর রহমান বাবু, অ্যাড. সাইফুল ইসলাম সোহেল, অ্যাড. আব্দুল শাকুর, অ্যাড. ওলিউল্লাহ, অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাড. শাহীন ইসলাম, অ্যাড. রেজাউল করিম, অ্যাড. তাছলিমা খাতুন, অ্যাড. অনিক, অ্যাড. সুধাণ্য সরকার, অ্যাড. শাহীন-২ সহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ অ্যাড. রবিউল ইসলাম খানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন