

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয়ের মাস উদযাপনে প্রশাসনের উদাসীনতা ও পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, বিজয়ের মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক নানা আয়োজন, আলোকসজ্জা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু চলতি বছর ক্যাম্পাসে নেই সেই উৎসবমুখর পরিবেশ।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা এবং ডাকসুর প্রতিনিধিদের অনাগ্রহে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২১ ও ২২ নভেম্বরের ভূমিকম্প পরিস্থিতির পর প্রশাসন তড়িঘড়ি করে হল খালি করা ও ক্লাস- পরীক্ষা বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র একদিনের নোটিশে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল, যা অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে। এরপর ছুটি বাড়িয়ে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হলেও হলগুলোর অবস্থা, কারিগরি নিরীক্ষার অগ্রগতি এবং সংস্কারকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
তাহমিদ বলেন, ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ–বিষয়ক এক প্রতিনিধির বক্তব্যে শহীদ ও নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের সংখ্যা ‘সহস্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪ লাখের অধিক নারী নির্যাতিত হয়েছেন- এই প্রেক্ষাপটে ‘সহস্র’ শব্দ ব্যবহারে ইতিহাস বিকৃতির শামিল।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিস্তব্ধতা উদ্বেগজনক। প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হীনমন্যতা মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির সর্বোচ্চ অর্জন- এটি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তির হাতে যেতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনাহীন ছুটি সেশনজট বাড়াবে। পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার।
মন্তব্য করুন