গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়েরসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় শহরের পুলিশ লাইন মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, গত ১৬ জুলাই এনসিপির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ পণ্ড করার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার সব অঙ্গসংগঠন শহরে প্রবেশের সব সড়ক অবরোধ করে রাখে। কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিএনপি নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশ শেষ হলে এনসিপির নেতাদের আক্রমণ করতে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে এনসিপির নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় অনেক লোক হতাহত হয়।
লিখিত বক্তব্যে রফিকুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকটি মামলা করেছে। সে মামলায় কোনো নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিককে হয়রানি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে অনুরোধ করছি।
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানা মোল্লা গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় ১৯ জুলাই হত্যা মামলা হয়।
মন্তব্য করুন