মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাবেক মন্ত্রী ফরহাদের ঘনিষ্ঠ সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী অপহরণ মামলা

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ শিক্ষক নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুল মাস্টার (লাল বৃত্তে)। ছবি : কালবেলা
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ শিক্ষক নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুল মাস্টার (লাল বৃত্তে)। ছবি : কালবেলা

মেহেরেপুরের মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ‘বিতর্কিত’ শিক্ষক নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুল মাস্টার (৩৭) আবারও আলোচনায়। এবারের অভিযোগ—নিজ কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেছেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ও তাঁতী লীগের নেতা হিসেবে নুরুল ইসলাম রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একাধিক মামলার আসামি হয়ে এবং নিয়মিত কলেজে অনুপস্থিত থেকে এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে কলেজের চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি।

এরইমধ্যে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মো. হানিফ গত ২১ জুলাই মুজিবনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদীর অভিযোগ, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে অনুসরণ করত। গত ২০ জুলাই রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুই সহযোগীকে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করেন তিনি।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘অভিযোগ মামলা আকারে রেকর্ড হয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।’

জানা গেছে, নুরুল ইসলামকে ঘিরে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। অনলাইন জুয়া, মানব পাচার ও তরুণদের বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে তার নাম একাধিকবার উঠে এসেছে। এরইমধ্যে দৈনিক কালবেলার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তাকে এ চক্রের ‘মূল হোতা’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষকতার আড়ালে অবৈধ আয়, দুর্দান্ত প্রতাপ আর অপরাধ জগতে পদচারণার অভিযোগ রয়েছে নুরুল মাস্টারের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা মো. হানিফ আক্ষেপ করে কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এক অযোগ্য পিতা। অধম। আমার সন্তানকে যারা নিয়ে গেছে, তাদের বিচার এ দেশে হবে না। আমি দেশ ছেড়ে চলে যাব। কোনোদিন আমার সন্তানদের আর স্কুল কলেজে ভর্তি করব না। এ বিষয়টা নিয়ে আপনাদের নিউজ করার দরকার নেই।’

তবে সবশেষ অপহরণের ঘটনায় এবার কলেজ প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ওমর খৈয়াম ঊষা বলেন, ‘কিছুদিন আগে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালবেলায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে শোকজ করি। এখন ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে, যেখানে আমিও সাক্ষী। নৈতিকতার বিচারে এ ধরনের শিক্ষক আমাদের প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে না। তাকে সাত দিনের সময় দিয়ে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম কালবেলাকে বলেন, ‘গত ২০ জুলাই রাতে ছাত্রী অপহরণের তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনেদুপুরে ভূমি অফিসে চুরি

খাজরা ইউনিয়নকে ‘মডেল ইউনিয়ন’ করার প্রতিশ্রুতি কাজী আলাউদ্দীনের

এক টেকে ‘জানি না’ গেয়েছিলেন নচিকেতা

বার্সাকে ‘চূড়ান্ত হ্যাঁ’ ইয়ামালের, ত্যাগে মুগ্ধ ফ্লিক

চট্টগ্রামে গোল্ডেন গেইট ইংলিশ স্কুলের এডমিশন ফেস্ট

আমদানির খবরে পেঁয়াজের বাজারে দরপতন

নতুন জোটে এনসিপির সঙ্গী হলো যারা

যারা দ্রুত নির্বাচন চেয়েছিল তারা এখন তা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : আবু হানিফ

নির্বাচনী কাজে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে ইসির যে সিদ্ধান্ত

কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

১০

পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের লিড

১১

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুস্থদের পাশে শমসের আলী হেলাল

১২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে শোকজ

১৩

‘বাকসু’ নাম রক্ষা ও নির্বাচনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

১৪

সুখবর পেলেন যুবদলের এক নেতা

১৫

নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

১৬

গলার ক্যানসার চেনার ৫ প্রাথমিক লক্ষণ

১৭

লিভারপুলকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ মোহাম্মদ সালাহর

১৮

এবার ২ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

১৯

বেনিনে প্রেসিডেন্টকে অপসারণের দাবি সেনাদের, পাল্টা বার্তা সরকারের

২০
X