নেত্রকোনায় শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নেত্রকোনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. একেএম এমদাদুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের কাজল চন্দ্র সরকারের ছেলে অপু চন্দ্র সরকার, একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মামুন ও মৃত মিয়াচানের ছেলে সুলতান।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনাকে শুধু আত্মহত্যা বলে পান্নার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করতে বাধ্য করে। পরে এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের পর পুনরায় দাফন করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় তিন অভিযুক্ত অপু, মামুন ও সুলতান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা রেলের পাশে থাকা মাছের ফিশারির ঘরে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খামার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এলে আসামিরা পরিবারটিকে বিষয়টি ধামাচাপার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। পরদিন সকালে শিশু পান্নার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পাশের আরেকটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নূরুল কবীর রুবেল বলেন, ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল পুলিশ চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ ৯ বছর পর ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।
মন্তব্য করুন