বাবার মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পর মারা গেলেন ছেলেও। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
স্বজনরা জানিয়েছেন, মো. আবুল হাসেম খান ও মো. সোলেমান খানের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে। মো. আবুল হাসেম খানের চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সোলেমান খান বড়। উপজেলার গাউছিয়া মার্কেটে সোলেমানের দর্জি দোকান ছিল। তার আয়েই সংসার চলত।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মো. সোলেমান খান (৩০) অসুস্থ হয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন তার বাবা মো. আবুল হাসেম খান (৬০)। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. আবুল হাসেম খান। বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে চিকিৎসাধীন সোলেমান খান আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৯টায় মারা যান বড় ছেলে।
অল্প সময়ের ব্যবধানে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যুতে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোলেমান খানের ছোট ভাই মো. শাহাজালাল খান বলেন, ‘এত অল্প সময়ে বাবা ও বড় ভাইকে হারালাম। এই কষ্ট ও শোক কীভাবে সহ্য করব। বড় ভাইয়ের আয়েই সংসার চলত।’
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। দুজনের মৃত্যুই অসুস্থতাজনিত।
মন্তব্য করুন