বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গেজেটে নাম নেই সাদমানের, পাচ্ছেন না চিকিৎসা-সহায়তা

সাদিক সাদমান সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত
সাদিক সাদমান সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত

শরীরে এখনো দুটি গুলি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র সাদিক সাদমান সিদ্দিক (২২)। এই গুলি বের করতে হলে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সাদিকের গুলি দুটি অপসারণ করতে হবে।

কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে কোনো সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না তারা।

শুধু সরকারি গেজেটে নাম না থাকায় উন্নত কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেই সঙ্গে পাচ্ছেন না সরকারি সুযোগ-সুবিধা। ফলে সব কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন সাদমান সিদ্দিক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র সাদিক সাদমান সিদ্দিক। সাদমান বগুড়া শহরের রহমান নগরের জিল্লুর রহমান শামীমের ছেলে ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই প্রতিদিন সভা-সমাবেশ অংশ নিয়েছেন সাদমান। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় এলাকায় মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। শরীরে ৯টি গুলিবিদ্ধ হয় সাদমানের।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সরকারি শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে সেখানে তেমন চিকিৎসাসেবা মেলেনি। বাধ্য হয়ে তাকে শহরের শেরপুর রোডের অন্বেষা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করায় তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে সাদিকের শরীর থেকে সাতটি গুলি বের করেন। জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হওয়ায় দুটি গুলি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।

সাদিকের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সাদিকের গুলি দুটি অপসারণ করতে হবে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে কোনো সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না তারা। এ বিষয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করলেও সাড়া পাননি।

সাদমান বলেন, দেশের ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেমেছিল তখন নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম আন্দোলনে। আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলাম অথচ সরকারিভাবে চিকিৎসা পাচ্ছি না। গেজেটে আমার নামও নেই। আমি সরকারের সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। অথচ শরীরে এখনো গুলি বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

সাদমানের বাবা জিল্লুর রহমান শামীম বলেন, তার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলো, অথচ কেউ খবরও নিল না। তার ছেলেকে গেজেটভুক্ত করার পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর দাবি জানান তিনি।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা কালবেলাকে আফরোজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যোদ্ধা যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের হেলথ কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন। কিন্তু সাদমান কেন গেজেটভুক্ত হননি বুঝতে পারছি না। তবে আবেদন পেলে তিনি কেন গেজেটভুক্ত হননি, তা খতিয়ে দেখা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

হামজার চোট কতটা গুরুতর, যা জানা গেল

কিছু ছোট পরিবর্তনেই বদলে যাবে আপনার পুরো লুক

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে নরওয়ে

২৯ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের নতুন ডিসি জাহিদুল 

মঙ্গল অভিযানে নাসার দুই মহাকাশযান

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

কল ও টেক্সট করে হত্যার হুমকি, অভিযোগ হাদির

এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপের টিকিট পেল ফ্রান্স

১০

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী

১১

তেঁতুলিয়ায় তীব্র হচ্ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে

১২

ক্ষমা চাইল বিবিসি, মানহানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

১৩

পুলিশ দেখে দৌড়, আটকের পর জানা গেল তিনি যুবলীগ নেতা

১৪

রোনালদোর লাল কার্ডে পর্তুগালের বিশ্বকাপ স্বপ্নে ধাক্কা

১৫

১৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

এসএসসি পাসেই নেয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

১৭

ঢাকায় বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, দ্রুত আবেদন করুন

১৯

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X