বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এদেশে আর কখনো নতুন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) খুলনার কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ছাত্র-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণমিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট এ দেশে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর স্বৈরচারী শাসক দিল্লি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। যেখানের প্রোডাক্ট সেখানে চলে গেছে।’
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরচারী সরকার গণহত্যা চালিয়ে ২ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। ৩৫ হাজারের বেশি আহত করেছে। চার শতাধিক ব্যক্তি তাদের চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। যারা গণহত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের ভেতরে ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা সব ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এক বছর হয়ে গেল আমরা এখনো কোনো দৃশ্যমান বিচার দেখতে পেলাম না। যারা শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে যথাযথ মর্যাদায় এ সরকারকে পুনর্বাসন ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমির মিজানুর রহমান, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাস্টার নূর কামাল হোসেন, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর মাস্টার সাইফুল্লাহ হায়দার, বাগালি ইউনিয়ন আমির হাফেজ মাও. আব্দুল হামিদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন আমির আবু সাঈদ, বাঙালি ইউনিয়ন আমির সাজ্জাদুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আমির মাওলানা মতিউর রহমান প্রমুখ।
গণমিছিলটি কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর মোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা বাস টার্মিনাল, ইজিবাইক স্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কয়রা জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন