প্রদীপ মোহন্ত, বগুড়া
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মৃত্যুর আগে ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চাই’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু রায়হান রাহিম। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু রায়হান রাহিম। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু রায়হান রাহিমের (২৯) মা রওশন আরা বেগম ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে যান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মৃত্যুর আগে ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চাই।

আবু রায়হান রাহিম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য ছিলেন।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে মা রওশন আরা বেগম, স্ত্রী দিলরুবা খাতুন ও চার বছরের ছেলে আবু সোয়াইবকে নিয়ে তাদের পরিবার এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

সোয়াইবের নামে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী দিলরুবা খাতুনকে দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হলেও যে বেতন পান, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য ও হক্কানী টিস্যু কোম্পানির সেলসম্যান আবু রায়হান রাহিম জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে মাঠে নামেন। গত বছর ৪ আগস্ট সকালের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। সে মিছিল দুপচাঁচিয়া থানা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে রাহিমের দুই পা গুলিবিদ্ধ হয়।

এ সময় কাহালুর মুনিরুল ইসলাম মুনির (২২) নামে এক ছাত্র ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাহিমকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৭ আগস্ট অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসকরা বাম পা থেকে গুলি বের করলেও ৯ আগস্ট সকালের দিকে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে রাহিমের মা ১৭ আগস্ট গভীর রাতে দুপচাঁচিয়া থানায় সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল হোসেন প্রামাণিককে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রওশন আরা বেগম বলেন, আমার বয়স হয়েছে। মৃত্যুর আগে আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।

আবু রায়হান রাহিমের স্ত্রী দিলরুবা খাতুন বলেন, পাঁচ বছরের সন্তান বাবা বাবা বলে ডাকে। ওকে সান্ত্বনা দিতে পারি না। আমার সন্তানের ভবিষ্যতে কি লেখা আছে আমি জানি না। তবে আমার চাওয়া আমার চাকরিটা স্থায়ী হলে পরিবার- পরিজন নিয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।

দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুর রহমান কালবেলাকে জানান, রাহিম হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামালপুরে একাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

জবি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার কফিল উদ্দিনের

বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

১০

কক্সবাজারে মার্কেটে আগুন

১১

৮ দলের কর্মসূচি নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পোস্ট

১২

চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন, সর্বোচ্চ সতর্কতায় পুলিশ

১৩

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নদীগুলোর নাব্যতা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেবে : বাচ্চু

১৪

নিক্সনের গানম্যানের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছিল পেট্রোল বোমা ও ককটেল : পুলিশ

১৫

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

১৬

অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা দয়াল

১৭

একজন উপদেষ্টা ধানমন্ডিতে ভোটার হতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন : ব্যারিস্টার অসীম

১৮

‘গণভোটের চেয়ে আলুচাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন’

১৯

খতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন সফলে ঢাকায় গণমিছিল

২০
X