চিন্ময় দাসসহ ৩৮ আসামির শুনানির তারিখ পিছিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এতে চট্টগ্রামের আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি আরও এক দফা পেছাল। বাদীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আগামী ২৫ আগস্ট নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ আংশিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান গত ১ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়। চলতি বছরের ৫ মে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এক আসামির জবানবন্দিতে সুকান্ত নামে এক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। তবে পূর্ণ পরিচয় না মেলায় তাকে অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ৮টি মামলা রয়েছে। এ অব্যাহতির বিষয়ে মৌখিক আপত্তি জানানো হয় আদালতে।
রোববার চিন্ময় দাসকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ওপর। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা, আদালতের কার্যক্রমে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ৫টি মামলা হয়। সব মিলিয়ে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিপন দাস বঁটি দিয়ে, চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। পরে আরও ১৫-২০ জন মিলে লাঠি, বাটাম, ইট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের ভাষ্য, চিন্ময় দাসের উসকানি ও নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপির তৎকালীন নেতা ফিরোজ খান জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। পরে ২৫ নভেম্বর ঢাকায় অভিযান চালিয়ে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন