নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছা। স্বামী, সন্তান, ভাই-বোন, মা-বাবা কেউ নেই তার। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এ নারী ভিক্ষা ছেড়ে বেছে নেন কর্ম। জীবন সংগ্রামে অপরাজেয় এ বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিসি নিজে বৃদ্ধার কাছে গিয়ে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে এ বৃদ্ধার জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করার নিশ্চিয়তা দেন তিনি।
জানা গেছে, শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগার সংলগ্ন দোয়েল প্লাজার পাশে ছোট্ট এক স্থানে বসে আমড়া ও জাম্বুরা বিক্রি করে জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছা। দিনে মাত্র তিন থেকে চারশ টাকা তার আয়। কখনো তার চেয়েও কম। এ সামান্য আয় দিয়েই চলছে তার একাকী জীবন। তিনি দেওভোগ এলাকার মঞ্জু আলীর বাড়িতে বসবাস করছেন। এ খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়ান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, শতবর্ষী এ বৃদ্ধা বয়সের বাধা অতিক্রম করেও আত্মসম্মান ধরে রেখেছেন। কারও কাছে হাত না পেতে নিজের জীবিকা নিজেই অর্জন করছেন। এটি সবার জন্য অনুসরণীয়। তাই তার সংগ্রামী মানসিকতার প্রশংসা না করলেই নয়। দ্রুত সময়ে তার জন্য বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম সম্পন্ন করে এমন সংগ্রামী মানুষদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের উপহার সামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লত হয়ে ফজিলাতুন্নেছা বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, কারও কাছে হাত পেতে কিছু নেব না। ভিক্ষা নয়, কর্ম করেই জীবন চালাব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাইমা ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার, শহর কার্যালয়ের অফিসার একেএম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন