সাভারে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ও অনুমোদনবিহীন আইসক্রিম উৎপাদনের অভিযোগে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কারখানার দুই দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড এবং কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের নাজিমনগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুবক্কর সরকার।
অভিযানে দেখা যায়, আইমান ফুড অ্যান্ড এগ্রো নামের প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশুদের আইসক্রিম তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল।
কারখানার ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, পচা-বাসি কেমিক্যাল ও নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে আইসক্রিম প্রস্তুত করা হচ্ছে। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছিল না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি, না ছিল সঠিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এতে শিশুদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছিলেন।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণার অংশ হিসেবে ভেজাল আইসক্রিমকে লাভেলো ব্র্যান্ডের প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করছিল। এতে প্রতিদিন শত শত ভোক্তা প্রতারিত হচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুবক্কর সরকার বলেন, ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি আইসক্রিম খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অভিযানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকা হেলালকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সহকারী ম্যানেজার নাঈমকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযান শেষে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় এ কারখানার বিরুদ্ধে ভেজাল ও নিম্নমানের আইসক্রিম তৈরির অভিযোগ ছিল। প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া অবৈধ খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন