বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতৃত্ব, শেখ হাসিনার মতো স্বৈরতান্ত্রিক শাসন নয়। খালেদা জিয়াই সেই নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি, যিনি নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে জনগণের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজনে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারী নেতৃত্ব মানে হওয়া উচিত মানবতার প্রতীক ও গণতন্ত্রের আশা। কিন্তু শেখ হাসিনা নারী হয়েও দেশকে রক্তাক্ত করেছেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন এবং হাজারো পরিবারকে শোকাহত করেছেন। এ ধরনের নেতৃত্ব জাতির জন্য অভিশাপ।
তিনি বলেন, আমরা চাই নারীরা রাজনীতিতে আসুক, নেতৃত্ব দিক। তবে সেই নেতৃত্ব হতে হবে জনগণের মুক্তির সংগ্রামে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায়—স্বৈরতন্ত্রের স্বার্থে নয়।
খালেদা জিয়াকে দেশের মানুষের আস্থা ও আশার প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি শুধু একজন নেতা নন, গণতন্ত্রের সংগ্রামী সৈনিক। নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি জনগণের অধিকার থেকে সরে আসেননি। এই সাহসী নারীর মতো নেতৃত্বই পারে দেশকে বাঁচাতে।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়। তারা পিআর নির্বাচন বোঝে না, মানেও না। বিএনপি জনগণের মতামতের বাইরে কোনো ব্যবস্থাকে সমর্থন করবে না। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হলে জনগণ যেমন অতীতে রাস্তায় নেমেছে, প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে নামবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হলো আন্দোলন। খালেদা জিয়ার সংগ্রামী আদর্শ ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাহস, ত্যাগ আর ঐক্যই পারে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী। পরিচালনা করেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দেদ আলী বাবু। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন