সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, রেলওয়ে স্টেশনে কোনো দালালচক্র বা টিকিট কালোবাজারিকে কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ ৪টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সারওয়ার আলম বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হননি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত ও আমাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে রেলের টিকিট কালোবাজারি ও অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি বাসা বা স্থাপনা সাবলেট (তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া) দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেট শহরে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে রেলওয়েসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৬টা ৪০মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস মোগলাবাজারে ক্রসিং করার কথা ছিল। পরে ক্রসিংয়ের জন্য থামার সিগন্যাল দেওয়া হয়।
উদয়নের চালক সিগন্যাল না মেনে লুপ লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ইঞ্জিনসহ ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা, লাইন মেরামত করে বিকল্প লাইনে পৌনে ৩ ঘণ্টা পর সিলেট থেকে কালনী এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন