বরগুনার তালতলীতে মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিনহাজ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাহাত মিনহাজ বলেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মহোদয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল হক সোহাগ। কারণ এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পরিচয় হলো তিনি থানা যুবদলের ক্যাডার ও তালতলী থানা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। শুধু তাই নয়, ওই প্রধান শিক্ষক বর্তমান তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলামের ছোট ভাই। এসব বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের নামে জাহিদুল ইসলাম সোহাগ মিথ্যা মামলা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুক্কুর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিয়াজুদ্দিন প্রিন্স ও যুবলীগ নেতা জে এইচ সুমন প্রমুখ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করার কারণে মামলা করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয়। যার প্রমাণ আমার কাছে আছে এবং আপনাদের দিয়েছি। আমি কোনো সময় বিএনপির রাজনীতি করিনি। তার প্রমাণ তারা কখনো দিতে পারবে না। আমি ছাত্রজীবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি তার প্রমাণ আমার কাছে আছে এবং আপনাদের দিয়েছি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্যের নামটা জড়িয়ে তার প্রতিপক্ষ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ওদের ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়। তারা মনগড়া কথা বলছে, আর আমি প্রমাণ নিয়ে কথা বলছি। মূলত চাঁদাবাজি মামলাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে তারা।
মন্তব্য করুন