আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাওরাঞ্চলের দুর্গম এলাকার ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, হাওরের দুর্গম এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো ও যানবাহনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসেছি। নির্বাচনে এসব এলাকায় যাতে পর্যাপ্ত যানবাহন, প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। ভোটারদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন— এতদিন তারা ভোট দিতে পারেননি, ভোট সুষ্ঠু হয়নি। এবার আমরা সেই ইতিহাস বদলে দিতে চাই। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি থাকবে।
বিশেষ করে নারী, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের বিষয়ে তিনি বলেন, নারীদের জন্য আলাদা বুথ ও নারী নিরাপত্তা কর্মী থাকবে। প্রতিবন্ধী ভোটাররা সহযোগীদের সঙ্গে ভোট দিতে পারবেন, যেন কেউ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর থেকেই আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি এবং ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করছি। এরই অংশ হিসেবে আজ তাহিরপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছি। এখান থেকেই সারা দেশের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন কার্যক্রমের সূচনা হলো।
শাপলা প্রতীক ইস্যুতে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। তাই এনসিপি দল এই প্রতীক পাবে না। এনসিপি এ বিষয়ে যে বক্তব্যই দিক না কেন, কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
নির্বাচন কমিশনের এই সফরের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সূচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত শাহা, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন