

চট্টগ্রাম বন্দরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তান থেকে আসা দুই কনটেইনারের নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ করেছে কাস্টমস। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে চালানগুলো পরীক্ষা করা হয়।
মূলত পাকিস্তান থেকে দুই কনটেইনারে আসার কথা ছিল পাখির খাদ্য। তবে কনটেইনার দুটি খুলে আমদানি-নিষিদ্ধ পপি বীজ পেয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
চালানটি মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামে এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আনে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে এ কাজে ছিল এম এইচ ট্রেডিং লিমিটেড। কনটেইনার পরীক্ষা করার সময় দেখা যায়, সামনের দিকে মাত্র ৭ হাজার ২০০ কেজি পাখির খাবার রাখা ছিল, কিন্তু ভেতরে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপি সিড লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পরে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার পর পণ্যটি পপি সিড হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘোষিত পণ্যের মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু জব্দ হওয়া পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
পপি সিড সাধারণত মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী অঙ্কুরোদগম উপযোগী পপি সিড ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত হয়। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর অনুচ্ছেদ ৩(১) (খ)-এ পপি সিড নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এ কারণে পণ্যটি দেশে আনা সম্পূর্ণ অবৈধ।
মন্তব্য করুন