

সাঁতার; হাত ও পায়ের সুনিপুণ কৌশল আর শরীরের নিয়ন্ত্রণে দমের ভারসাম্যের দক্ষতায় জলকে বসে নিয়ে এগিয়ে চলার এক রোমাঞ্চকর যাত্রা! অথচ শুধু সাঁতার না জানায় জলের ওপরের কত রোমাঞ্চকর মুহূর্ত রূপ নিয়েছে মৃত্যুর বিষাদে!
তাই তো পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতাসহ সাঁতারে উৎসাহিত করতে দেশের ১০ সাঁতারু পাড়ি দিয়েছেন সাগরের ৫ কিলোমিটার নোনা পথ। তাদের মধ্যে ১৮ বছরের এক তরুণ দীর্ঘ এ জলপথ সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন মাত্র মাত্র ১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে!
বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বোয়াস) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম দুঃসাহসিক ওয়াটার স্পোর্টস ইভেন্ট ‘পাহাড় থেকে ডট কম কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং ২০২৫’। এই ইভেন্টে একসঙ্গে সাঁতরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১০ জন সাঁতারু।
৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলটি সবচেয়ে কম সময়ে পাড়ি দিয়েছেন বাংলা চ্যানেল জয়ী রাব্বি রহমান। এর পরই গন্তব্যে পৌঁছান ইংলিশ চ্যানেল জয়ী বাংলাদেশি সাঁতারু নাজমুল হক হিমেল। তিনি সময় নিয়েছেন রাব্বির থেকে মাত্র দুই মিনিট বেশি, ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট।
শনিবার (৮ নভেম্বর) জলদূষণ রোধ, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, জল পর্যটন ও সাঁতারের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করতে এ আয়োজনটি করে বোয়াস।
কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ঘাট থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতাটি শুরু হয় বেলা পৌনে ১১টার দিকে। প্রথম সাঁতারু তীরে পৌঁছান দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে।
এ প্রতিযোগিতায় অন্যান্য সাহসী অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ছিলেন নাছির আহমেদ, এস আই এম ফেরদৌস আলম, আবদুল্লাহ আল সাবিত, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো.আল আমিন, ফারিদ আহমেদ খান, খন্দকার শওকত ওসমান ও মো. তাসির। তারাও প্রত্যেকেই সফলভাবে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
এদিন পেকুয়ার মগনামা ঘাটে সাঁতারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এস এম নূরুল আখতার নিলয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোয়াসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নাছির আহমেদ সৌরভ, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আলাউদ্দিন, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) কোঅর্ডিনেটর দেলওয়ার হোসাইন, সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক চৌধুরী, লবণ-মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক এম আজম উদ্দিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা জিল্লুল করিমসহ উপকূলীয় মুক্ত রোভার স্কাউটস গ্রুপের সদস্যসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন