

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ৯ দিনের জন্য বিশেষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরে আরও তিন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কঠোর অবস্থানে থাকবে। প্রয়োজন হলে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি সফরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে ৩০ হাজার সেনা সদস্য মাঠে থাকলেও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর মোতায়েন বাড়িয়ে প্রায় এক লাখ করা হবে। এ ছাড়া দায়িত্ব পালন করবে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ, ৩৫ হাজার বিজিবি, পাঁচ হাজার নৌবাহিনী, চার হাজার কোস্টগার্ড, আট হাজার র্যাব এবং আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার সদস্য। নিরাপত্তা জোরদারে আনসার সদস্যদের অস্ত্র ও বডি ক্যাম সরবরাহ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইলেকশন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সরকার পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশে সরকার পতন কোনো তিনজন মানুষের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পরিবর্তন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনও পালিয়েছে। এটি জনগণের ইচ্ছার ফসল।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের মামলার রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষণা হবে। এজন্যও দেশজুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় থাকবে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
উপদেষ্টা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রোজার আগেই অনুষ্ঠিত হবে। তফশিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের রদবদল করা হবে।
মতবিনিময় শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী পুলিশ লাইনস ও কোস্টগার্ড বেইস পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রাত যাপন করেন। আগামীকাল রোববার সকালে তিনি বরিশাল হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
মন্তব্য করুন