

মাতৃত্বের পর গ্ল্যামারের দুনিয়ায় নিজের নিয়ম নিজেই লিখছেন বলিউডের লেডি সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন। ক্যামেরার সামনে দিনে আট ঘণ্টার বেশি নয়, এই এক ঘোষণাতেই যেন নড়ে গেছে বলিপাড়ার চেনা হিসাব-নিকাশ। শোনা যাচ্ছে, এই অনড় সিদ্ধান্তের জেরে চলতি বছরে হাতছাড়া হয়েছে একের পর এক বড় প্রজেক্ট। কেউ প্রশংসায় মুখর, কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন। ঠিক এই দ্বিধাবিভক্ত বলিউডের মাঝেই দীপিকার পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে সমর্থনের কণ্ঠ তুললেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী কাল্কি কোয়েচলিন।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নিজের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ‘হার সং’-এর শুটিং শেষ করেছেন কাল্কি। সেই কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়েই ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কর্মপরিবেশ নিয়ে আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে।
কাল্কি মনে করেন, দীপিকা পাড়ুকোন কাজের সময়ের যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সৃজনশীল কাজের জন্য জরুরি। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকার কর্মঘণ্টার বিষয়ে কাল্কি বলেন, ‘বিদেশের ছবির শুটিংয়ের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো সেটে বাড়তি লোক থাকে না। ফলে কাজটা খুব দ্রুত, গোছানো এবং নিখুঁতভাবে শেষ হয়। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির শুটিং সেটে সবসময়ই অপ্রয়োজনীয় ভিড় লেগে থাকে। এই শৃঙ্খলাটা আমাদের ওদের থেকে শেখা উচিত।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এখানে শিফট ১২ ঘণ্টার হলেও দেখা যায় সময়মতো কাজ শুরু হয় না, আবার শেষও হয় না। কাজের পরিবেশ আনন্দদায়ক হওয়া খুব জরুরি। পরিবেশ সুস্থ থাকলে কাজের মানও ভালো হয়। আমরা বর্তমানে যে বিশৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করি, তা সৃজনশীল কাজের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়।’
তাই বলা যায়, সব বিতর্কের মাঝেও সময় যেন নিজের উত্তর নিজেই দিয়ে দিচ্ছে। মাতৃত্বের পর নিজের শর্তে কাজ করার সিদ্ধান্তে দীপিকা পাড়ুকোন যে একা নন, সেটা কাল্কির প্রকাশ্য সমর্থন তা স্পষ্ট করে দিল। কাজের সময় নয়, কাজের মান ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব, এই বার্তাটিই বছর শেষে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিল বলিউডে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সমর্থন শুধু দীপিকার অবস্থানকেই নয়, ভবিষ্যতে শিল্পীদের কাজের পরিবেশ নিয়েও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা করতে পারে।
মন্তব্য করুন