চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসির সংলাপে ইসলামিক ফ্রন্টের ৯ প্রস্তাবনা

সংলাপে অংশ নেওয়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের নেতারা। ছবি : কালবেলা
সংলাপে অংশ নেওয়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের নেতারা। ছবি : কালবেলা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৯টি বিশেষ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সংলাপে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদিন জুবাইর।

রোববার (১৬ নভেম্বর) ইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করতে এসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

সংলাপে নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই এখন প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ। জাতি এমন পরিবেশ চায়, যেখানে জনমতের প্রতিফলন তথা ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনোরূপ বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকটি রাজনৈতিক পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনকে ক্রমশ সংঘাতময় করে তুলছে।

নির্বাচনকেন্দ্রিক অবাঞ্ছিত জেদাজেদি এবং ক্ষমতায় যাওয়ার উগ্র বাসনা ক্রমাগত নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এমনি পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক ঐকমত্য খুবই জরুরি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সর্বপ্রকার সমস্যার অবসান হতে পারে বলে আমরা মনে করি।

সংলাপে অংশ নেওয়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহিম আখতারি বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসির সঙ্গে সংলাপে নয় দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। জাতি এখন একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। আমরাও একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জাতির বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৯ দফা দাবিগুলো হলো— নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফেব্রুয়ারি’ ২৬ এ নির্বাচন আয়োজন, সারাদেশে একই দিনে নির্বাচন না করে পৃথক পৃথকভাবে ৪ (চার) পর্যায়ে আয়োজন, নির্বাচনের পূর্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা, দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক, অর্থ পাচারকারী ও আদালতে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন প্রশাসনকে দল নিরপেক্ষভাবে পুনর্গঠন করা, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রটেকশন দেওয়া এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিখোঁজের ৩ দিন পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারজনকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা

খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

এক সপ্তাহে ১৫ হাজার প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি

খাতা চ্যালেঞ্জ করে সুখবর পেল ২৩৩১ শিক্ষার্থী

আবারও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্ক

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার কনভেনশন / ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন সময়ের দাবি

ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশে অসুস্থ হওয়া ফাতেমা মারা গেছেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডিবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১০

এনসিপির যুব সংগঠনের নেত্রী ঐশীর পদত্যাগ

১১

সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

মনোনয়ন নিলেন সারজিস, বিএনপির যে প্রার্থীর বিপক্ষে লড়বেন

১৩

খরা কাটাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা ইরানের

১৪

নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি কোনো আপস করবে না : মিনু

১৫

এমআইসিএস জরিপ, বাল্যবিবাহ কমলেও কিশোরী মাতৃত্ব বাড়ছে

১৬

পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন শমসের মবিন

১৭

রাবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

১৮

যেভাবে ইয়ামালকে হারানোর ঝুঁকি সামলায় বার্সা

১৯

নির্বাচন ভন্ডুল করার ক্ষমতা কারও নেই : আমান

২০
X