

খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ জেলার আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। সরকারি অনুমতি ছাড়া বিআরটিসি বাস ও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ সব ধরনের থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন ও শহীদ মিনার সড়কে মানববন্ধন করেন মালিক সমিতির নেতারা।
তাদের তিন দফা দাবি হলো— সরকারি অনুমোদন ছাড়া চলাচলরত বিআরটিসি ও ইজারা দেওয়া বিআরটিসি গাড়ি বন্ধকরণ; পথে থাকা বিআরটিসির সব কাউন্টার অপসারণ, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বিআরটিসি ও কাউন্টার চালানোর ক্ষেত্রে জেলার নিজ নিজ মালিক সমিতি বিআরটিসি শৃঙ্খলা মোতাবেক পরিচালনা করবে; ইজিবাইক, মাহিন্দ্রসহ সব ধরনের থ্রি হুইলারকে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক বাদে পার্শ্ববর্তী সড়কে চলাচল করতে হবে। দূরপাল্লা নামধারী পরিবহন জেলা টার্মিনাল থেকে চলাচল করবে।
মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া বিআরটিসি ও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ সব ধরনের থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সমঝোতা হয়নি। আমাদের তিন দফা দাবি তারা মেনে না নেওয়ায় খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশাল বিভাগের ৭টি জেলার বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ ডিসেম্বর থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের মালিক-শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। সরকারি অনুমোদন ছাড়া বিআরটিসি নামধারী গাড়িগুলো লাগামহীনভাবে চলাচল করছে। বিআরটিসি গাড়ি নিলাম কিনে কোনো রকম মেরামত করে বিআরটিসির নাম ব্যবহার করে চলাচল করছে, যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি। প্রভাবশালীরা ডিপো ম্যানেজারদের সঙ্গে অনৈতিক যোগসাজশে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসায় অভ্যন্তরীণ রুটের বাস মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া অবৈধ ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নছিমন, করিমন যত্রতত্র বেপরোয়া ও ইচ্ছামতো চলাচল করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিনা, সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন জিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, অর্থ সম্পাদক মতিউর রহমান, লাইন সাধারণ সম্পাদক সরদার জসীমসহ মালিক সমিতির সদস্য ও অন্য জেলার নেতারা।
মন্তব্য করুন