

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের লাড়ীবাড়ী গ্রামে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা কীটনাশক ছিটিয়ে দুই কৃষকের পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে। এতে দুই কৃষকের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে মাঠে গিয়ে কৃষক নুর আলী মোল্লা ও মো. জালাল খান দেখতে পান—বিষ মেশানো কীটনাশকের প্রভাবে তাদের বীজতলার সব চারা ঝলসে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষক নুর আলী মোল্লা বলেন, দুই থেকে তিন দিন আগে রাতের আঁধারে কেউ ঘাসনাশক জাতীয় বিষ ব্যবহার করেছে। সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো রোপণ করলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাভবান হতে পারতাম। দোষীদের বিচার চাই।
আরেক কৃষক মো. জালাল খান বলেন, ধারদেনা করে চারা করেছি। কে বা কারা বিষ দিল—সব শেষ। এখন আমি নিঃস্ব।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চারা পুনরুদ্ধারের কোনো সুযোগ নেই। এতে দুই পরিবারই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় কৃষক শুকর আলী শেখ বলেন, এভাবে কারও চারা নষ্ট করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দোষীদের শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে আরও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সাওরাইল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিষ নাশক জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। চারাগুলো বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।
কালুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্ণিমা হালদার কালবেলাকে বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত আছি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় কৃষকদের বীজতলা নষ্ট করার এমন ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। তারা দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন