

কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌরসভা সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামের ঘুষিতে একই প্রতিষ্ঠানের ট্রাকচালক শহিদুল ইসলাম প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত সার্ভেয়ার পালাতক রয়েছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার ১০১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম (কুটি) পৌর এলাকার শেরকান্দি এলাকার মৃত গনজের আলীর ছেলে। তিনি কুমারখালী পৌরসভার ট্রাকচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে পলাতক পৌর সার্ভেয়ার শেরকান্দি গোহাট এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার বকেয়া বেতনের টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় শহিদুল ইসলামকে পৌরসভার ১০১ নম্বর কক্ষে আটক করে রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পর শহিদুল ইসলাম মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, প্রকৃত ঘটনা এখনো জানা যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে বকেয়া বেতন নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। উত্তেজিত জনতা সার্ভেয়ারের বাড়ি ভাঙতে গেলে পুলিশ তা ঠেকিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বকেয়া বেতন নিয়ে বাগবিতণ্ডায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
মন্তব্য করুন