

টানা চার দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দারা। হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা কনকনে বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় ছিল একই ডিগ্রি তাপমাত্রা।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
অন্যদিকে, তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া তিরনইহাট এলাকার রাজমিস্ত্রি আমিনুর রহমান বলেন, রাত থেকে প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকালে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। কাজ না করতে পারলে কী খাব। তাই পরিবারের কথা ভেবে কাজ করতে হবে।
উপজেলা সদরের ঈদগাহ বস্তি এলাকার ভ্যানচালক আইনুল হক বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বরে হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরে কনকনে বাতাসের কারণে খুব শীত লাগছে। ভ্যান চালানো যাচ্ছে না।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণ ১০০ শতাংশ। হিমেল হাওয়ায় চারদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া গত কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাসে কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন