বগুড়ায় ডিবি পুলিশ হেফাজতে হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৬) নামের একজন আইনজীবীর সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে বগুড়া জেলা জজ আদালতের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। ডিবি পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পুলিশ পাহারায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তির পর রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়। শাজাহানপুর থানার খুকি বেওয়া হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে।
হাবিবুর রহমান হাবিব শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া দামারপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বাবলুর ছেলে। তিনি বগুড়া জেলা জজ আদালতে সিনিয়র আইনজীবী মঞ্জুরুল হকের ভাগিনা এবং তারই সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
আইনজীবী মঞ্জুরুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এরপর হাবিবকে ফোন করে মামলার নথিপত্র নিয়ে যেতে বলি। ১৫ মিনিট পর জানতে পারি একটি মাইক্রোবাসে অপেক্ষারত ডিবি পুলিশের দল আদালতের সামনে রাস্তা থেকে হাবিবকে তুলে নিয়ে গেছে। রাত ৯টার দিকে লোক মুখে হাবিবের মৃত্যুর সংবাদ পাই।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, শাজাহানপুর থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়। ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাবিব বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থবোধ করেন। দ্রুত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে ভর্তি করার পর তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ডিবি পুলিশ হাবিবকে সঙ্গাহীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ডিবি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবের মৃত্যু হয়। তবে মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২ আগস্ট শাজাহানপুর থানার জোড়া গ্রামের খুকি বেওয়া (৮০) নিখোঁজ হন। ৪ আগস্ট গ্রামের একটি পুকুরে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হলেও মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি পা পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের মুন্না বেওয়ার বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে খুকি বেওয়ার বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার করা হয়। খুকি বেওয়া হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। ডিবি পুলিশ ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটকের পর হাসপাতালে মারা গেছে বলে শুনেছি।
মন্তব্য করুন