শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের ৫ জনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ‘শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে রিকশাচালক’ এই শিরোনামে দৈনিক কালবেলা অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয়।
নিউজটি প্রকাশ হওয়ায় শরীয়তপুরের শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নজরে আসে আদালতের। পরে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রিকশাচালক চুন্নু মিয়াকে ৪ সপ্তাহ জামিন দিয়েছেন শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালত।
এ বিষয়ে আসামির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সিরাজ বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে বিকেলে জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত চুন্নু মিয়ার ৪ সপ্তাহ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে। আমি মনে করি, চুন্নু মিয়া ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
এ বিষয়ে চুন্নু মিয়া বলেন, প্রথমে আমি কালবেলা পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পত্রিকা সত্য প্রকাশ করে আমার পাশে না থাকলে হয়তো আমি আজ জামিনে মুক্ত হতে পারতাম না। মামলার বাদী অ্যাডভোকেট লিপি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমার ছোট ছোট সন্তান রেখে আমি প্রায় দেড় মাস জেলে ছিলাম। ওইখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অ্যাডভোকেট লিপি যে বিল্ডিংয়ের কথা উল্লেখ করে চাঁদাবাজি মামলাটি করেছেন ওই বিল্ডিংয়ের জায়গা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। এই মিথ্যা মামলা থেকে আমি অব্যাহতি চাচ্ছি।
মন্তব্য করুন