শেরপুর পৌরসভার মীরগঞ্জ এলাকায় পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা মৃগী নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। এতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি। দূষণে নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষের। ময়লা আবর্জনার কারণে এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে।
পাখি, কুকুর-বিড়াল ও গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে এই পচা জীবাণু ছড়াচ্ছে মানুষের দেহে। ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নিজস্ব আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সেনেটারি ল্যান্ডফিল্ড থাকলেও এভাবে ময়লা ফেলে নদীসহ পরিবেশ দূষণে স্থানীয়রা পৌর কর্তৃপক্ষের খাম খেয়ালিপনাকে দায়ী করছেন অনেকে।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়িগুলো ময়লা ফেলছে পৌরসভার মীরগঞ্জ এলাকায় মৃগী নদীর তীরে। সেই ময়লা গিয়ে পড়ছে নদীতে। কিন্তু গত বছর শহরের অষ্টমীতলায় ২.৭৬ একর জমির ওপর প্রতিদিন ১৫ টন বর্জ্য অপসারণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চলের ময়লা পানির ড্রেন নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নদীতে। এতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি।
সুজন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই এলাকা দিয়ে দুর্গন্ধে চলাচল করা যায় না। বাড়ি ঘরে মশার উপদ্রবে বেড়ে গেছে। এ ছাড়া নদীর পানি নষ্ট হওয়াতে পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থী রাব্বি আহমেদ বলেন, দুর্গন্ধে ঘরে বসে পড়ালেখা করতে পারি না। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত না করে উল্টো পথে যাই স্কুলে।
এ ব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। শহরের পশ্চিম অংশের কিছু ময়লা সময় বাচানোর জন্য কেউ হয়তো ফেলে থাকতে পারে। তবে এখন থেকে পৌরসভার সকল ময়লা নির্ধারিত জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন