আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বিরল রোগে আক্রান্ত ছামিয়ার

সাতক্ষীরার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা
সাতক্ষীরার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছমিয়ার। পিতা ভ্যানচালক হওয়ায় মেয়ের উন্নত চিকিৎসার সামর্থ্য না থাকায় অকালেই যেন মৃত্যু হাতছানি দিচ্ছে শিশু ছামিয়ার। সে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের ইয়াছিন আলীর মেয়ে। বিরল রোগে আক্রান্ত ছামিয়া খাতুন কুল্যা বেনাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে হঠাৎ ছামিয়ার শরীরে খোস চামড়া উঠতে দেখা যায়। তার পিতা হত দরিদ্র হওয়ায় বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসককে দেখাতে না পারলেও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে মেয়ের চিকিৎসা করতে থাকেন। চিকিৎসা চলাকালীন মেয়েটি পুরোপুরি সুস্থ না হলেও কয়েক সপ্তাহের জন্য অবস্থার উন্নতি হয়। গত কয়েকদিন থেকে ছামিয়া মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তার শরীরের পায়ের পাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণ খোস চামড়া উঠছে।

অসহ্য চুলকানির ফলে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত ঝরে পড়তে দেখা যায়। চুলকানির যন্ত্রণায় অবুঝ শিশুটি সারটা দিন ছটফট করতে থাকে বলে জানান মা রিজিয়া খাতুন।

পিতা ইয়াসিন আলী জানান, আমি একজন সামান্য ভ্যানচালক। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমার পরিবার। সড়কে ভ্যান চালিয়ে তার সামান্য উপার্জনে যেখানে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথায় পাবে মোটা অংকের টাকা? তাই অর্থের অভাবে গ্রাম অঞ্চলের গ্রাম্য ডাক্তারই একমাত্র ভরসা তার। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে তার মেয়ে সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে স্কুলে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। ডাক্তার দেখানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় উপজেলা ও জেলার সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি। তারা কিছু মলম ও ওষুধ দেয় তা ব্যবহার করলে কদিন সেরে আবারও দেখা দেয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছামিয়ার শিক্ষক নিতাই কর্মকার বলেন, ছামিয়া খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। হঠাৎ করে তার শরীরের চামড়া উঠতে শুরু করে এবং সাথে রক্ত আসতে থাকে। গায়ে কোন পোশাক পরতে না পারার কারণে এখন সে আর স্কুলে আসতে পারে না। আমরা চাই ছামিয়া উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে ফিরে আসুক।

এ বিষয়ে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছুই জানাননি। এ ধরনের বিরল রোগের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোনো বাজেট না থাকলেও মানববিক দিক বিবেচনা করে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এমতাবস্থায় অসহায় পরিবারের শিশুটির জীবন বাঁচাতে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সমাজ সেবক ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশেষ সম্মাননায় মাইলি সাইরাস

মন ভালো রাখার আহ্বানে পালিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তিন বাহিনীর প্রধানরা

ঘরে ফিরে স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান স্ত্রী

নারীদের লেখা গল্পে আবেগের সত্যতা আলাদা হয়: কৃতিকা কামরা

সীমান্ত সংঘর্ষে কম্বোডিয়ায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া

জবি শিবিরের ওসমান হাদির কবর জিয়ারত

বিপিএলের টিকিট বিক্রি শুরু, কিনবেন যেভাবে

নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল মুসল্লির

নওগাঁয় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

১০

আরও দীর্ঘ হলো বায়ার্নের ইনজুরির তালিকা

১১

সড়কে ঝরল দুই প্রাণ

১২

বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেটার নিতে চায় সৌদি আরব

১৩

আজ বছরের দীর্ঘতম রাত

১৪

ছায়ানট ভবনে হামলা-ভাঙচুর : ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৫

চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৬

‘ইরানে নতুন হামলার বিষয়ে’ ট্রাম্পকে জানাবেন নেতানিয়াহু

১৭

বাংলা ভাষা শিখছেন সাইফ আলি খান

১৮

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

১৯

দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অ্যাশেজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া

২০
X