কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সাত ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে অতিক্রম করেছে।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে জগন্নাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথপুরের বাসিন্দা মো. মিল্লাত, চলাচলের ভয় রয়েই গেল। আগে মনে হতো বাস সমস্যা, অনিরাপদ। এখন দেখি ট্রেনও নিরাপদ না।
তিনি জানান, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেদনপুর উপজেলায় তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ট্রেনেই যাতায়াত করেন। গতকালকের ঘটনার পর থেকে তার মনে ভয় কাজ করছে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় তিনি স্টেশনেই ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি।
মিল্লাত আরও জানান, এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগে কখনও দেখেনি তিনি। ঘটনার পরের ঘটনা ছিল আরও ভয়াবহ। চারদিক শুধু মানুষের আহাজারি। কাকে রেখে কাকে উদ্ধার করবে মানুষ। প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিজিবিও অংশ নেয় উদ্ধার অভিযানে।
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ মিয়া জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এগারসিন্ধু গোধূলী ট্রেনটি। ভৈরব স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় জগন্নাথপুর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কন্টেইনার (মালবাহী ট্রেন) সিগন্যাল অমান্য করে এগারসিন্ধুর ট্রেনের পেছনের ৩টি বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বগি ৩টি তছনছ হয়ে যায়।
আখাউড়া থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিলিফ ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলির ২টি বগি উদ্ধার করে। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন