ঢাকায় দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার অংশে চেকপোস্টের কারণে দীর্ঘ সময় যানবাহনে বসে না থেকে হেঁটে রাজধানীর দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকাল ৬টার পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে এ চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছায় চরমে।
প্রিয়া নামের সাভার পরিবহনের এক যাত্রী তার সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকার শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে যাবেন। আমিবাজার এসে বাস আর না যাওয়ায় তিনি তার অসুস্থ শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটেই গাবতলীর দিকে রওনা হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার মেয়েটা খুব অসুস্থ। তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকার এসব ঝামেলার কথা শুনেছি। তাই অনেক সকালে রওনা হয়েছি যাতে ঠিক সময় ডাক্তারের কাছে যেতে পারি। কিন্তু আমিনবাজার পর্যন্ত বাস আসার পর তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই নেমে গেছে বাস থেকে পরে আমিও মেয়েকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার সকাল থেকেই অফিস শুরু। কিন্তু দেখেন এখনও আমি আমিন বাজারের রাস্তায় হাঁটছি। এটার কারণ রাস্তায় গাড়ি খুব কম। এ ছাড়া চেকপোস্টের কারণে দীর্ঘ সময় গাড়ি বন্ধ হয়ে আছে। তাই বাধ্য হয়ে গাবতলী পর্যন্ত হেঁটে যাচ্ছি। আমরা রাজনীতি করি না, তাহলে কেন অহেতুক আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
পথচারী বরকত আলী বলেন, আজ আমাদের এ দুর্ভোগ হচ্ছে কেন? আমরা তো কোনো দলের বা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তবে কেন আমাদের এ হয়রানি। এ দায়ভার কে নেবে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, ট্রাফিক ও অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, জনগণের স্বার্থেই আমাদের এ চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জনগণ যেন কোনো নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে তার জন্য আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনছি।
এদিকে সকাল ৬টার পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে এ চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ভেতরে প্রায় শতাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন