গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি হলো অর্ধ লাখ টাকায়

মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা
মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জেলে মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের ১টি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত আনোয়ার খাঁর মাছের আড়ত থেকে নিলামে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে মোট ৪৬ হাজার ৮শ টাকায় কিনে নেন।

জেলে আব্দুল মাজেদ হালদার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় হতাশ ছিলাম। নদীতে পানি কমায় অনেক দিন পর আজ ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেললে ৩৬ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পরে।

এর আগে সকালে আব্দুল মাজেদ হালদার ও তার দল পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। দীর্ঘক্ষণ কোনো মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হন। পরে তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার মনস্থির করে শেষবারের মতো নদীতে জাল ফেলেন। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি বাঘাইড় মাছ। পরে মাছটি বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, মাছটি আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে ক্রয় করি। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরিঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করে। এরপর বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুপুরের পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৪শ টাকা কেজি দরে মোট ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি করি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি কমছে। নদীতে পানি কমলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আগামী প্রজননের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি মাছ পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অতঃপর...

বিশ্ব হাতি দিবসে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা : হাতি সংরক্ষণে বড় উদ্যোগ

মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ কলিং ভিসার খবরে বিভ্রান্তি

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ হয়ে যাওয়া কি নেককার হওয়ার লক্ষণ?

এটা দেখে আমাদের সবারই লজ্জা হওয়া উচিত : মুশফিক

হঠাৎ আইসিসি র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ রোহিত-কোহলি!

এক দিনে ৩ শতাধিক ব্যাংক কর্মীকে ছাঁটাই

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের

২৫ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

ভোটকন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ কবে, জানাল ইসি

১০

এবার ৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ

১১

সিলেটের সাদা পাথরকাণ্ডে ১০ সুপারিশ

১২

পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবেন প্রবাসীরা

১৩

রুমায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজন আটক

১৪

দোকানে গেলেই মিলবে একাকিত্ব দূর করার উপায়    

১৫

বিচারক-রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১৬

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বেকারত্ব দূর করতে ব্যর্থ : শিবির সেক্রেটারি

১৭

জাতীয় নারী ফুটবলার সাগরিকার বাড়িতে চুরি

১৮

বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানোকে ঘিরে বিতর্ক

১৯

উদ্বেগ জানালেন আজহারি

২০
X