রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি হলো অর্ধ লাখ টাকায়

মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা
মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জেলে মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের ১টি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত আনোয়ার খাঁর মাছের আড়ত থেকে নিলামে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে মোট ৪৬ হাজার ৮শ টাকায় কিনে নেন।

জেলে আব্দুল মাজেদ হালদার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় হতাশ ছিলাম। নদীতে পানি কমায় অনেক দিন পর আজ ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেললে ৩৬ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পরে।

এর আগে সকালে আব্দুল মাজেদ হালদার ও তার দল পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। দীর্ঘক্ষণ কোনো মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হন। পরে তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার মনস্থির করে শেষবারের মতো নদীতে জাল ফেলেন। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি বাঘাইড় মাছ। পরে মাছটি বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, মাছটি আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে ক্রয় করি। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরিঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করে। এরপর বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুপুরের পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৪শ টাকা কেজি দরে মোট ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি করি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি কমছে। নদীতে পানি কমলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আগামী প্রজননের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি মাছ পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১০

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১১

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১২

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৩

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৪

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৫

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৬

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৭

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১৮

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

১৯

ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া

২০
X