রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি হলো অর্ধ লাখ টাকায়

মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা
মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ধরা পড়ে। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জেলে মাজেদ হালদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের ১টি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত আনোয়ার খাঁর মাছের আড়ত থেকে নিলামে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে মোট ৪৬ হাজার ৮শ টাকায় কিনে নেন।

জেলে আব্দুল মাজেদ হালদার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় হতাশ ছিলাম। নদীতে পানি কমায় অনেক দিন পর আজ ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেললে ৩৬ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পরে।

এর আগে সকালে আব্দুল মাজেদ হালদার ও তার দল পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। দীর্ঘক্ষণ কোনো মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হন। পরে তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার মনস্থির করে শেষবারের মতো নদীতে জাল ফেলেন। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি বাঘাইড় মাছ। পরে মাছটি বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, মাছটি আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে ক্রয় করি। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরিঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করে। এরপর বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুপুরের পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৪শ টাকা কেজি দরে মোট ৫০ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি করি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি কমছে। নদীতে পানি কমলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আগামী প্রজননের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি মাছ পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তা ফেসবুক পোস্ট

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

১০

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১১

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১২

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১৩

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১৪

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১৫

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

১৬

চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী

১৭

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

১৮

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

১৯

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২০
X