বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল সভাপতি

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মো. কামাল হোসেন বিল্লাল নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সিনিয়র শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন একই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি একেএম ফারুক।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের মধ্য মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত শিক্ষক কামাল হোসেন বিল্লাল মাছিমপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ও বিদ্যালয়ের সভাপতি একেএম ফারুক একই গ্রামের আইচের বাড়ির মৃত মোহাম্মদ উল্লার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্য মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কামাল হোসেন বিল্লাল প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে আসেন। এরপরই সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম ফারুক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের সামনে শিক্ষক রুমের টেবিল থেকে স্কেল নিয়ে সিনিয়র শিক্ষক কামাল উদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক কামাল হোসেন বিল্লাল জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রায়ই আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আজ সকালে আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করিয়ে পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় আমি মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের ক্লাস খুব একটা ভালো হয় না বলার সঙ্গে সঙ্গে টেবিলের ওপর থেকে স্কেল নিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। এত দ্রুত ঘটনাটি ঘটেছে, আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই উনি স্কুল থেকে চলে যান। আমি বর্তমানে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ কে এম ফারুক জানান, এটা একটা অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। এজন্য আমি অনুতপ্ত। আমি তো মানুষ, ফেরেশতা নই। ভুল হতেই পারে। ঘটনার পর পরই বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষক বিল্লালের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু কাউকে পাইনি। দয়া করে আপনারা বিষয়টি সমাধান করে দিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থে লেখালেখির দরকার নেই।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, গত দুই বছর আগেও একেএম ফারুক একজন শিক্ষককে মাছিমপুর বাংলাবাজারে হাঁটবারের দিন প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। পরে ক্ষমা চেয়ে পার পান।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে গেল। পরে আমিসহ অন্য শিক্ষকরা মিলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। এভাবে একজন শিক্ষকের ওপর হামলা দুঃখজনক।

রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা সব কর্মকর্তা হাসপাতালে গিয়েছি। শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

ডাকসু নির্বাচন, আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

শুনানিতে বিএনপি-এনসিপির মারামারির ঘটনায় ইসির জিডি

পাঁচ মাসে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেল বিডা

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে : চরমোনাই পীর

১০

৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

১১

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা

১২

বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

১৩

এখন হয় মনোনয়ন বাণিজ্য, পিআরে হবে এমপি বাণিজ্য : খোকন

১৪

ডাকসু নির্বাচন / আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

১৫

দ্বিতীয় ইরান হয়ে উঠছে ইয়েমেন, হিসাব মেলাতে পারছে না ইসরায়েল

১৬

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের

১৭

দেশে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

১৮

ভিক্ষুকের বাসায় মিলল ৩ ভরি সোনা ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা

১৯

জেলেই মারা গেলেন আসামি, কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল পুলিশ

২০
X